আপনি যদি SEO শিখতে চান বা এসইও সম্পর্কে ধারণা রাখেন তাহলে অবশ্যই আপনি backlink শব্দের সাথে পরিচিত। সাইটে ভিজিটর বাড়াতে এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন জন্য ব্যাকলিঙ্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পোস্টে ব্যাকলিঙ্ক সম্পর্কে সাধারণ কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন শুরু করা যাক:-

Backlink কি?

Backlink হলো একটি ওয়েবসাইট থেকে আরেকটি ওয়েবসাইটে যাওয়ার লিঙ্ক। এটি SEO (Search Engine Optimization)-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যখন অন্য কোনো ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটের একটি পেজের লিঙ্ক শেয়ার করে, তখন সেটি আপনার জন্য একটি ব্যাকলিঙ্ক হিসেবে গণ্য হয়।

Backlink এর ধরন

  1. DoFollow Backlink:
  • এই লিঙ্কগুলো সার্চ ইঞ্জিনে পেজের র‌্যাঙ্ক বাড়াতে সাহায্য করে।
  1. NoFollow Backlink:
  • এটি লিঙ্কটি নির্দেশ করে কিন্তু র‌্যাঙ্ক বাড়ায় না। তবে ভিজিটর আনতে সহায়ক।

কিভাবে Backlink করবেন?

১. গেস্ট পোস্টিং (Guest Posting)

অন্য কোনো ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখুন এবং সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিন।

২. ব্লগ কমেন্টিং (Blog Commenting)

সংশ্লিষ্ট ব্লগগুলোতে মন্তব্য করে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করুন।

৩. সোশ্যাল শেয়ারিং (Social Media Backlinking)

ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিঙ্ক শেয়ার করুন।

৪. ডিরেক্টরি সাবমিশন (Directory Submission)

ওয়েব ডিরেক্টরিতে আপনার সাইট সাবমিট করুন।

৫. ফোরামে অংশগ্রহণ (Forum Participation)

যেমন: Quora, Reddit বা অন্যান্য ফোরামে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বা আলোচনা করে লিঙ্ক শেয়ার করুন।

৬. ইনফোগ্রাফিক শেয়ারিং

ইনফোগ্রাফিক তৈরি করে পিন্টারেস্ট বা ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট সাইটগুলোতে শেয়ার করুন।

৭. ভাঙা লিঙ্ক ঠিক করা (Broken Link Building)

অন্য ওয়েবসাইটে ভাঙা লিঙ্ক খুঁজে সেগুলোর পরিবর্তে আপনার লিঙ্ক প্রস্তাব করুন।


Backlink করার সুবিধা

  1. সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্ক বাড়ায়
    গুণগত মানসম্পন্ন ব্যাকলিঙ্ক সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটের অবস্থান উন্নত করে।
  2. ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক বাড়ায়
    ব্যাকলিঙ্কের মাধ্যমে নতুন ভিজিটর পেতে পারেন।
  3. ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি করে
    ভালো ও জনপ্রিয় ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক পাওয়া আপনার সাইটকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে।
  4. ইন্ডেক্সিং ত্বরান্বিত করে
    নতুন পেজ বা পোস্ট দ্রুত গুগলে ইন্ডেক্স হতে সাহায্য করে।

Backlink করার অসুবিধা

  1. খারাপ ব্যাকলিঙ্কের প্রভাব
    নিম্নমানের বা স্প্যামি সাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটের র‌্যাঙ্ক কমিয়ে দিতে পারে।
  2. গুগল পেনাল্টি
    অতিরিক্ত বা অনৈতিক উপায়ে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করলে গুগল আপনার সাইটকে পেনাল্টি দিতে পারে।
  3. সময়সাপেক্ষ
    ভালো মানের ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করা সময়সাপেক্ষ এবং প্রচেষ্টা লাগে।
  4. প্রতিযোগিতা
    উচ্চমানের ব্যাকলিঙ্ক পাওয়া কঠিন হতে পারে কারণ প্রতিযোগিতামূলক সাইটগুলো একে অপরের থেকে এগিয়ে থাকার চেষ্টা করে।

পরামর্শ:

  • সব সময় গুণগত মানসম্পন্ন ও প্রাসঙ্গিক ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করুন।
  • কন্টেন্টের মান উন্নত করুন যাতে অন্যরা স্বেচ্ছায় আপনার লিঙ্ক শেয়ার করে।
  • ব্যাকলিঙ্কিং কৌশল নিয়মিত বিশ্লেষণ করুন এবং আপডেট রাখুন।

Leave a Reply