ওয়েল্ডিং হচ্ছে দুই খন্ড ধাতুকে উত্তাপের সাহায্যে গলিত বা অর্ধগলিত অবস্থায় এনে চাপে বা বিনা চাপে স্থায়ীভাবে জোড়া দেওয়ার পদ্ধতি হচ্ছে ওয়েল্ডিং। সাধারণত বাসাবাড়ি জানালা ও বারান্দার গ্ৰিল, লোহার দরজা, স্টিলের খাট এই জিনিস ধাতুর তৈরি জিনিসে ওয়েল্ডিং এর কাজ দেখা যায়।

বর্তমান দেশে এবং বিদেশে এই কাজের চাহিদা থাকায় নতুন নতুন অনেকেই এই কাজ শিখতে আগ্রহী হচ্ছে। তবে নতুনদের জন্য এই কাজ করার পর ওয়েল্ডিং এর অতিবেগুনি রশ্মি কারনে চোখ সাময়িক সমস্যা বা যন্ত্রণা হয়ে থাকে যা ওয়েল্ডিং এর ভাষায় আর্ক আই বলে। এই চোখের সমস্যা থেকে ঘরোয়া উপায়ে কিছু চিকিৎসা গ্ৰহণ করে স্বস্তি পেতে পারেন।

(চোখের সমস্যায় পড়তে না চাইলে ওয়েল্ডিং করার সময় অবশ্যই ওয়েল্ডিং করার জন্য বিশেষ সেফটি হেলমেট/মাস্ক পরে কাজ করুন।)

১. একটা গ্লাসে কিছু পরিমাণ পানি নিয়ে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে নিন। তারপর সেই পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করুন। অবশ্যই চেষ্টা করুন চোখে ভিতরের অংশ পানি দিতে।

২. একটা পরিষ্কার কাপড় নিন। এরপর কাপড়টি পরিষ্কার ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিন। এবার কাপড়টি ভাঁজ করে চোখের উপরে রাখুন। এতে চোখে জ্বালা কমে যাবে এবং সাময়িক আরাম অনুভব করবেন।

৩. দুইটা টি ব্যাগ নিন। এরপর টি ব্যাগ গুলো ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিন। তারপর টি ব্যাগ গুলো চোখের পাতার উপরে রাখুন। কিছু সময় রাখলে চোখের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাবেন।

৪. কয়েক টুকরো বরফ নিন। এরপর বরফ টুকরো নিয়ে চোখের পাতায় ঘষুন আলতো ভাবে ঘষুন, এতে চোখের জ্বালাপোড়া কমবে।

৫. একটা ছোট আলু নেই এবার আলু টাকে পরিষ্কার করে দুই টুকরো করে আলুর ভিতরের অংশ চোখের বন্ধ করে পাতার উপরে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এতে চোখে জ্বালা কমে আরাম অনুভব করবেন।

৬. এলোভেরা কেটে সুন্দর করে তার রস বের করে নিন। এরপর তা চোখে উপরে এবং চারপাশে ভালো ভাবে লাগিয়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে যাতে চোখের ভিতরে না লাগে। এভাবে কিছুক্ষণ রেখে দিলে চোখে আরাম অনুভব করবেন।

যদিও আর্ক আইয়ের জ্বালাপোড়া বা সমস্যা ২৪ ঘন্টা বেশি থাকে না। কিন্তু যদি ২৪ ঘন্টা পরও যদি সমস্যা দূর না হয় তাহলে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *