মুখের সৌন্দর্য প্রকাশ হয় ঠোঁটের মাধ্যমে। আর গোলাপি ঠোঁট মানুষের সৌন্দর্য প্রকাশের একটি মাধ্যম। কিন্তু নানা কারণে বা অযত্নের জন্য ঠোঁট কালো হয়ে যায়।

ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করার জন্য অনেক কসমেটিক বা ক্যামিকেল আছে কিন্তু এগুলো ঠোঁট গোলাপি করলেও এতে ঠোঁট এবং শরীরের ক্ষতি হতে পারে। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করার প্রাকৃতিক উপায় ও রয়েছে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কিভাবে ঠোঁট গোলাপি করার উপায়। 

ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ

নানা কারণে ঠোঁট কালো হওয়ার কারণে হতে পারে। যেমন- ঠোঁট কালো হওয়ার প্রধান কারণ ধুমপান, অনেক সময় ঠোঁটের ডেড সেল বা মরা চামড়ার জন্যও ঠোঁট কালো হয়ে যায়, শারীরিক সমস্যা থাকলেও ঠোঁট কালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এছাড়াও দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ালেও ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে। 

ঠোঁট গোলাপি করার উপায়

১. ঠোঁট গোলাপি করার জন্য আধা চা-চামচ হলুদের সঙ্গে আধ চা-চামচ দুধ মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর নিয়মিত কয়েকমিনিট ধরে তা ঠোঁটে মালিশ করুন। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।

২. দুধ রূপ চর্চার ব্যবহার করা হয় দীর্ঘদিন ধরে। কাঁচা দুধ ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। কিছুটা কাঁচা দুধ একটি পাত্রে নিন এরপর কিছুটা তুলা নিন এরপর তুলা দুধে ভিজিয়ে সেটা দিয়ে ঠোঁট হালকা করে মালিশ করুন কয়েক মিনিট। নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁট গোলাপি হবে এবং কালচে ভাব দূর হবে। 

৩. লেবু ত্বকের দাগ দূর করতে ভীষণ কার্যকারী। লেবু ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে সহায়তা করে। এজন্য রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে লেবু ঘোষে সকালে তা ঢুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।

৪. এক চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ লেবুর রস ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে এক ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন। লেবু ঠোঁটের কালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে। মধু ঠোঁটকে ময়শ্চারাইজ করে।

৫. গোলাপ জল হাইপার পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। কিছুটা গোলাপ জল তুলতে লাগিয়ে ঠোঁটে লাগান। কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন।

৬. ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে অ্যালোভেরা জেল লাগান। অ্যালোভেরা জেলের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে যা ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।  

৭. ঠোঁটের কালচে ভাব কমাতে শসার রস ব্যবহার করা যেতে পারে। ভালো ফলাফল পেতে শসার রসের সাথে মিশিয়ে অ্যালোভেরা জেল লাগান।

Leave a Reply